বলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতির মধ্যে অন্যতম অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই। তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্তদের যেন আগ্রহের শেষ নেই। কখনও বিচ্ছেদের জল্পনা, কখনও ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন- সব মিলিয়ে এই জুটিকে ঘিরে কৌতূহলের শেষ নেই। যদিও অভিষেক স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এসব গুজবের কোনো ভিত্তি নেই, তবু তাদের সম্পর্ক নিয়ে কৌতূহল পিছু ছাড়েনি।
২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রীর প্রশংসায় অভিষেক বলেছিলেন, ঐশ্বরিয়া ভালোবাসায় ভরা একজন মানুষ। ও কখনই চিৎকার করে না। ওকে রেগে যেতে দেখার জন্য আপনাকে সত্যিই খুব খারাপ কিছু করতে হবে।
এবারও ঠিক একই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি ঘটলো। যেখানে স্ত্রীর প্রশংসায় তার মুখে গর্বের ছাপ দেখা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল ‘নায়নদীপ রক্ষিত’ এর সঙ্গে এক খোলামেলা আড্ডায় অভিষেক বলেন, আমি সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি, কিন্তু আরাধ্যার জীবন থেমে থাকে না। ঐশ্বরিয়া নিজেই আমাদের মেয়ের সব দায়িত্ব পালন করে। ও অসাধারণ একজন মা, যে নিঃস্বার্থভাবে সন্তানকে ভালোবাসে। মায়েরা আসলেই এক অন্যরকম শক্তি নিয়ে আসেন পরিবারে। সম্ভবত সে কারণেই আমাদের সবচেয়ে নির্ভরতার জায়গা মায়েরাই হয়ে ওঠেন।
আরাধ্যার প্রসঙ্গে অভিষেক জানান, আমাদের মেয়ের কোনও ফোন নেই, সে সোশ্যাল মিডিয়াতেও নেই। আমি মনে করি, ওকে যে মানসিকতা নিয়ে বড় করা হচ্ছে, সেটাও ওর নিজের চরিত্রের একটা বড় প্রমাণ। ও খুব সচেতন, দায়িত্বশীলভাবে বড় হচ্ছে। পরিবারের সবার সঙ্গে আনন্দ নিয়ে। ঐশ্বরিয়া ওকে সেভাবেই গড়ে তুলেছে।
একমাত্র মেয়ে প্রসঙ্গে অভিনেতা আরও বলেন, ও যখন জন্মায়, আমার হাতের উপর পুরোটা ধরিয়ে রাখা যেতো। আর এখন ও ঐশ্বরিয়ার চেয়েও লম্বা হয়ে গেছে। সময়ের সঙ্গে বড় হচ্ছে মেয়েটাও।
অভিনেতা আরও জানান, কিছুদিন ধরে তার আর ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার গুজব অনলাইনে ছড়ালেও তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এসব গুজব সম্পর্কে তিনি বলেন, লোকজন কীভাবে কীভাবে এমন কথা লিখে ফেলে। যাদের সম্পর্কে কিছু জানে না, তাদের নিয়েও কটু মন্তব্য করতে কুণ্ঠাবোধ করে না।
অভিষেকের মতে, পরিবারকে সময় দেওয়া, ভালোবাসা দেওয়া আর একে অন্যের পাশে থাকা এটাই জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। দিন শেষে শান্তি মানেই হলো পরিবারের কাছে ফিরে আসা।