শরীয়তপুরের জাজিরায় আলোচিত খবির সরদার ও আলমাছ সরদার হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে গাজীপুর ও শরীয়তপুরে পৃথক অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়।
র্যাব সুত্রে জানা যায় , গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮, র্যাব-১ ও র্যাব-১২ যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় খবির সরদার হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী দেলোয়ার হোসেন গগন (৬০) ও কামাল সরদার (৩৯) কে গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভোলারটেক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে আলমাছ সরদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো. দানেশ সরদার (৫৯) কে শরীয়তপুরের সখিপুর থানার আলুরবাজার ফেরিঘাট এলাকা থেকে আটক করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ আগস্ট রাত ৯টার দিকে জাজিরার উমরদ্দি মাদবর কান্দি এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে খবির সরদারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বুকের ডান পাশে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দানেশ সরদার বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে ২৬ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে উমর উদ্দিন মাদবর কান্দি এলাকায় আলমাছ সরদারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর পুকুরে চুবিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়। জাজিরা থানা পুলিশ ২৮ আগস্ট রাত ১০টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বোন লিপি বেগম বাদী হয়ে ২৫ জনকে নাম উল্লেখসহ আরও ১০-১৫ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
দুই হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাগুলো দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় পুলিশ আবেদন করলে র্যাব-৮ এর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব সফলভাবে তিন আসামীকে গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জাজিরা সময়।